আজকের আলোচনার বিষয় এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার লাইসেন্স, এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (সংক্ষিপ্তরূপ এটিসি) হল স্থলভিত্তিক বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক (এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার) দ্বারা প্রদানকৃত একটি সেবামূলক কর্মকাণ্ড যা স্থলে এবং নিয়ন্ত্রিত আকাশসীমার মাধ্যমে বিমান পরিচালনা করে এবং অনিয়ন্ত্রিত আকাশসীমার বিমানের জন্য উপদেষ্টামূলক সেবাপ্রদান করতে পারে। বিশ্বব্যাপী এটিসি-র মূল উদ্দেশ্য বিমানসমূহের মধ্যে সংঘর্ষ প্রতিরোধ করা, বিমান চলাচলের প্রবাহকে সুসংগঠিত এবং দ্রুততর করা এবং বিমানচালকদের জন্য তথ্য এবং অন্যান্য সহায়তা প্রদান করা।
এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার লাইসেন্স (ATC)
অনেকের ইচ্ছে থাকে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার হওয়া, এই জবটি অন্যান্য জব সেক্টর থেকে একদমই আলাদা। এখানে খুব বিচক্ষণ, মেধাবী এবং জ্ঞানী হতে হয় । কারণ একজন ট্রাফিক কন্ট্রোলারের অনুমতিক্রমেই উড়োজাহাজ উড্ডয়ন বা অবতরণ করে ৷
তাই তাকে হতে হবে খুবই বিচক্ষণ, ও মেধাবী এবং অবশ্যই আন্তর্জাতিক ভাষা ইংরেজি ভালোভাবে জানা থাকতে হবে। এ ছাড়াও লাইসেন্স পেতে হলে প্রথমে তার বয়স ১৮ বছরের বেশি হতে হবে। এইচএসসি বা এ লেভেল উত্তীর্ণ হতে হবে। এবং এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার বিষয়ের ওপর গ্র্যাজুয়েশনও করতে পারো কিংবা শর্ট কোর্সও করা যায় তবে গ্র্যাজুয়েশন করাটা ভালো।
এভিয়েশন ম্যানেজমেন্ট
এভিয়েশন ম্যানেজমেন্ট একটি জটিল ও বিচিত্র ক্ষেত্র । এই সাবজেক্টে এভিয়েশনের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়।এয়ারলাইন্স, বিমানবন্দর, উড়োজাহাজ ম্যানেজমেন্ট, পরিচালনা এবং মহা আকাশের শিল্প সম্পর্কিত ব্যবসা সম্পর্কে জানতে হবে ।
এই কোর্সটি করা থাকলে এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন সেক্টর পরিচালনা করতে পারা যায় শুধু তাই নয় এর মধ্যে রয়েছে মার্কেটিং। এয়ারলাইন্স পরিচালনার সঠিক ধারণাও ব্যবসায়িক মূল মন্ত্র। কেবল মাত্র ব্যবসা নয়, মেনেজম্যান্ট ক্যাপাবিলিটিও বেড়ে যাবে ।
ক্যারিয়ার
এভিয়েশন কোর্স করলে একজন ভালো ব্যবসায়ী হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে জব করা যায়। যেমন:
১. এভিয়েশন স্ট্যোটেজি ও পলিসি।
২. এয়ারলাইন্স ম্যানেজার।
৩. এয়ারপোর্ট ম্যানেজার।
৪. এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি ম্যানেজার ইত্যাদি
এ ছাড়াও অনেক ডিপার্টমেন্টে জব করতে পারবে।
ই-টিকিটিং
ই-টিকিটিং হচ্ছে ইলেকট্রনিক টিকিট সিস্টেম, যা কম্পিউটারের মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট বুকিং দেওয়া এবং কাটা হয়। ই-টিকিটিং জব পাওয়ার জন্য মিনিমাম এসএসসি কিংবা ডিপ্লোমা গ্র্যাজুয়েট হতে হবে। তাহলে ই-টিকিটিং জব করা যাবে কিংবা দেওয়া যাবে এজেন্সি।